চিন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে নভেল করোনা-ভাইরাস সংক্রমণের কারণে
বিশ্বজুড়ে আতংক তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর এসেছে
আক্রান্তের সংখ্যাও কয়েক হাজার, সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO).
চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে এ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। পরে তা জাপান, থাইল্যান্ড, হংকং, ভিয়েতনাম,
দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
নভেল করোনা ভাইরাস (২০১৯-nCOV) ভাইরাসের সপ্তম বৃহৎ প্রজাতি। এটি মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।
পাশাপাশি আরও কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। লিভার ও কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে। ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস
ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। তবে শেষ পর্যন্ত অরগ্যান ফেইলিওর বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া বা মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ :
আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ দিন পর লক্ষণ দেখা দিতে পারে
+ শ্বাসকষ্ট
+ ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর
+ শুকনো কাশি
+ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা
+ পেটের পীড়া
+ পেটে জ্বালাপোড়া
চিকিৎসা কী?
এখনও কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। রোগ প্রতিরোধের উপায় বা চিকিৎসাও নেই। চিকিৎসকরা বলছেন :
+ ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
+ বারবার হাত ধুয়ে পরিচ্ছন্ন থাকুন
+ হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করাই ভালো
+ ঘরের বাইরে গেলে সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চিন বা আক্রান্ত দেশ ভ্রমণ শেষে ফেরার ১৪ দিনের মধ্যে যদি প্রচণ্ড জ্বর
(অন্তত ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট), গলাব্যথা, কাশি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়েন, তাহলে নভেল করোনা ভাইরাস (২০১৯-nCOV)
সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান IEDCR-এর হটলাইনেও যোগাযোগ করা যেতে পারে :
+৮৮ ০১৯৩৭ ১১০০১১
+৮৮ ০১৯৩৭ ০০০০১১
+৮৮ ০১৯২৭ ৭১১৭৮৪
+৮৮ ০১৯২৭ ৭১১৭৮৫